সিন্ধু সভ্যতার স্নানাগার সম্পর্কে কী জানেন?
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people's questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people's questions & connect with other people.
Sahamina
সিন্ধু প্রদেশের মহেঞ্জোদাড়াে নগরীর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি বৃহৎ স্নানাগার আবিষ্কৃত হয়েছে। এতে একটি প্রকান্ড চৌবাচ্চাও ছিল। স্নানাগারের বাইরের দিকের মাপ ছিল ১৮০x১০৮ ফিট। এবং জলাধারটির মাপ ছিল ৩৯x২৩ ফিট এবং গভীরতা ৮ ফিট। জলাধারটিতে জল ঢুকাবার ও বের করার ব্যবস্থা ছিল। জলাশয়ের নােংরা জল নিকাশ ও তাতে পরিষ্কার জল পূর্ণ করার ব্যবস্থা ছিল। ঋতুভেদে জল গরম বা ঠান্ডা করার ব্যবস্থাও ছিল। এই জলাধারের তিনদিকে ছিল বারান্দা এবং একদিকে ছিল ছােটো ছােটো কিছু ঘর। ডঃ রামশরণ শর্মা -র মতে, স্নানের পর পােশাক পরিবর্তনের জন্য ঘরগুলি ব্যবহৃত হত। স্যার মর্টিমার হুইলার মনে করেন যে, ভারতীয় ধর্মীয় জীবনে স্নানের গুরুত্ব অপরিসীম। স্নানাগারটি ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হত এবং এর সন্নিহিত ঘরগুলি ছিল পুরােহিতদের বাসস্থান। অপরদিকে ডঃ দামােদর ধৰ্মানন্দ কোশস্বী এই কক্ষগুলিকে পতিতাদের বাসস্থান বলে উল্লেখ করেছেন।